Monday, October 14, 2024
No menu items!
আরোআইটি বিশ্ব৭ প্রকারের লোগো নিয়ে আলোচনা

৭ প্রকারের লোগো নিয়ে আলোচনা

লোগো পর্ব ০৭

৭ প্রকারের লোগো নিয়ে আলোচনা

লোগো ডিজাইনের পূর্বে অবশ্যই সঠিক লোগোর টাইপ নির্বাচন করা জরুরি। প্রত্যেক প্রকার লোগোরই ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা রয়েছে। লোগোর বৈশিষ্ট্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কি ধরণের লোগো ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো ।

১। ওয়ার্ড মার্ক লোগো (Wordmarks or logotypes)

ওয়ার্ড মার্ককে অনেকে লোগো টাইপ নামে বলে থাকে। ওয়ার্ড মার্ক লোগো সাধারণত টাইপোগ্রাফি ভিত্তিক হয়ে থাকে। অর্থাৎ টেক্সটের মধ্যেই কোম্পানির নাম বা ব্রান্ড নাম থাকে। এ ধরনের লোগোতে যেহেতু শুধুমাত্র টেক্সট ব্যবহার করা হয়, তাই টেক্সটের স্টাইল, রং ইত্যাদি খেয়াল রেখে লোগোটি ডিজাইন করা হয় । যেমন: Google, Ebay, Coca Cola ইত্যাদি।

ওয়ার্ড মার্ক লোগো কখন ব্যবহার করবেন:

  • কোম্পানি নতুন হয়, তবে এই ধরণের লোগো ব্যবহার করতে পারেন।
  • কোম্পানির নাম যদি ছোটো হয়।
  • নাম যদি আপনার ব্রান্ড হয়ে থাকে। সাধারণত ফটোগ্রাফারদের ক্ষেত্রে এ ধরনের লোগো প্রযোজ্য।

ওয়ার্ড মার্ক লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • কোম্পানির নাম যদি বেশী লম্বা হয়ে থাকে ।
  • পর্যায়ক্রমে লোগোটি যদি আপডেট করতে না চান।

২। অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো (Abstract logo marks )

অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো সাধারণত কোম্পানির আইডিয়া, গুনাগুণকে উপস্থাপন করে। অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো শেপ কিংবা ছবি ভিত্তিক হয়ে থাকে। রং এবং অনন্য ডিজাইনে করা হয় এই ধরণের লোগো।

অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো কখন ব্যবহার করবেন:

  • লোগোতে চিত্র ব্যবহার করতে ইচ্ছুক ।
  • অন্যদের থেকে আলাদা কিছু চাইলে।

অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • ট্র্যাডিশনাল কোম্পানিতে এই ধরণের লোগো ব্যবহার না করাই ভালো।

৩। লেটার মার্ক লোগো (Monogram logos or letter mark logo)

লেটার মার্ক মনোগ্রাম লোগো নামে পরিচিত। এ ধরণের লোগোতে কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর কিংবা সংক্ষিপ্তরূপ হয়। যেমনটা আমরা ম্যাকডোনাল্ডস, এইচবিও, এইচপি, ibm ইত্যাদি কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখে থাকি। ম্যাকডোনাল্ডস তাদের কোম্পানির প্রথম অক্ষর এম দিয়ে লোগো তৈরি করে নিয়েছে, আর এই ধরণের লোগোকে লেটার মার্ক লোগো বলা হয়।

লেটার মার্ক লোগো কখন ব্যবহার করবেন:

  • যদি আপনার কোম্পানির নাম বেশী লম্বা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ ধরণের লোগো ব্যবহার করাই শ্রেয়।
  • আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান যদি এমন হয়ে থাকে যেখানে সংক্ষিপ্ত নাম বেশী প্রচলিত।

লেটার মার্ক লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • কোম্পানি যদি নতুন হয় তবে এ ধরণের লোগো ব্যবহার না করাই ভাল। যদি একান্তই করার ইচ্ছা হয়, তবে প্রথম দিকে লোগোর নিচের দিকে সম্পূর্ণ নাম দিয়ে দিতে পারেন।

৪। লোগো সিম্বল (Pictorial mark or logo symbols)

আইকন ভিত্তিক লোগোকে সাধারণত সিম্বল বা পিক্টোরিয়াল লোগো বলা হয়। কোম্পানির জন্য সুনির্দিষ্ট আইকন নির্বাচন করবেন যার দ্বারা সহজেই মানুষ আপনার কোম্পানিকে চিহ্নিত করতে পারবে।

লোগো সিম্বল কখন ব্যবহার করবেন:

  • আপনার ব্রান্ডকে আলাদা পরিচয় দিতে চাইলে এই ধরণের লোগো ব্যবহার করতে পারেন।
  • আপনার কম্পিানি আগে থেকে পরিচিত থাকলে।

লোগো সিম্বল কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • ট্র্যাডিশনাল কোম্পানিতে এই ধরণের লোগো ব্যবহার না করাাই ভালো।

৫। মাস্ককোটস লোগো (Mascot logo)

কার্টুন, কালার ফুল ছবি অথবা ব্যঙ্গ এধরনের বৈশিষ্ট্যর মিশ্রণে যে ধরণের লোগো তৈরি হয়, তাকে মাস্ককোটস লোগো বলা হয়। মাস্ককোটস লোগো সাধারণত ইলাস্ট্রেশন ভিত্তিক হয়ে থাকে। কেএফসির লোগো হলো মাস্ককোটস লোগোর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

মাস্ককোটস লোগো কখন ব্যবহার করবেন:

  • কোম্পানির বাচ্চা অথবা সাংসারিক গ্রাহক আকর্ষণের উদ্দেশ্য থাকে।
  • কোম্পানি যদি বন্ধু ভাবাপন্ন, মিশুক, আনন্দদায়ক, মজার হয়ে থাকে।

লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • গম্ভীর কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি হলে এই ধরণের লোগো ব্যবহার না করাাই ভালো।

৬। এমব্লেম লোগো (The emblem logo)

এমব্লেম লোগো টেক্সট এবং আইকন বা সিম্বল যুক্ত করে একসাথে ডিজাইন করা হয়। এই ধরণের লোগো সাধারণত ট্রেডিশনাল লোগোর অন্যতম উদাহরণ। উদাহরণ: স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সংগঠন এবং সরকারী সংস্থা সূমহে ব্যবহার করা হয়।

লোগো কখন ব্যবহার করবেন:

  • কোম্পানি যদি কোন ঐতিহ্যবাহী বা প্রথা ভিত্তিক হয়ে থাকে।
  • কফি শপ, ফুড বা পানীয় বেজড কোম্পানির ক্ষেত্রে এই ধরণের লোগো ব্যবহার করা যেতে পারে।

লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • এই ধরণের লোগো দূর থেকে স্পষ্ট বোঝা যাবে না যেমন বিলবোর্ড।
  • ওয়েবসাইটের তথা যেসব ক্ষেত্রে লোগোর সাইজ ছোট করার প্রয়োজন হবে সেই সময় আপনার কোম্পানির নাম অস্পষ্ট থাকবে।

৭। কম্বিনেশন মার্ক লোগো (The combination mark logo)

কেবল এক ধরণের লোগো নির্বাচন এমন কোন বাঁধাধরা নিয়ম নাই। এমনো পরিস্থিতি হতে পারে যেখানে উপরের কয়েক রকম লোগোর মিশ্রণ করার প্রয়োজন হতে পারে। এই ধরণের লোগোকে কম্বিনেশন মার্ক বলা হয়।

কম্বিনেশন মার্ক লোগো কখন ব্যবহার করবেন:

  • আপনার কোম্পানি যদি বহুমুখী, অদ্বিতীয় হয়ে থাকে তবে এই ধরণের লোগো নির্বাচন করতে পারেন।
  • অনেক কিছু একবারে প্রকাশ করতে চাইলে।

কম্বিনেশন মার্ক লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:

  • নরমাল এবং সহজ সরল ডিজাইনের উদ্দেশ্য থাকলে এই ধরণের লোগো ব্যবহার না করাই ভালো।

সব শেষে বলবো লোগো ডিজাইনের বাঁধা-ধরা কোন নিয়ম নেই। তবে আলোচনাটি সঠিক লোগো নির্বাচন করতে সহায়তা করবে। লোগো অনেক জায়গায় ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে। তাই লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

Mst. Salamun Kawla

CEO

Triangle IT Solution

Brahmanbaria

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য