আজ ”কালের দূরবীন ”পত্রিকার ২য় বছর পূর্তিতে কালের দূরবীনের সকল সাংবাদিক, রিপোর্টার, উপস্থাপক এবং পত্রিকার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে জড়িত সকলকে শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। করোনা মহামারীর জন্য অফলাইনের ইভেন্ট বাদ দিয়ে স্বল্প পরিসরে অনলাইনে আজ সারাদিন এ দিবসটি পালিত হয়। কেক কেটে ও দোয়ামাহফিলের মাধ্যমে দিনটির কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কালের দূরবীন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতার সহধর্মীনি ললিতা ইসলামসহ অন্যান্য।
কালের দূরবীনের ইতিহাস বলতে গেলে প্রথমেই আমার বাবা মোঃ নজরুল ইসলামের কথা আসে। মূলত তিনিই এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা। ছোট বেলা থেকেই তিনি লেখালেখিতে পারদর্শী ছিলেন। তাঁর লেখা অসংখ্য কবিতা ও গান রয়েছে। তাছাড়া লোকাল পত্রিকাও লেখালেখি করতেন। সরকারি চাকরিরত অবস্থায় অবসরে রাত জেগে তিনি লেখালেখি করতেন। তারি ধারাবাহিকতায় চর্চা অব্যাহত রাখতে ২০১৮ সালের ২রা মার্চে অবসরে যাবার পর একটি অনলাইন পত্রিকা খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
পত্রিকার নাম নিয়ে অনেকদিন ভাবার পরও যখন কারও মাথায় নাম আসছিল না। তখন তিনিই ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর সারা রাত জেগে অবশেষে ১৬ অক্টোবর সকালে পত্রিকার নামকরণ করেন ”কালের দূরবীন”। পত্রিকার এ নাম রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ”কালের অর্থ সময়ের আর দূরবীন যা অস্পষ্ট এবং দূরের জিনিসকে স্পষ্ট বা কাছে নিয়ে আসে। মানে কালের দূরবীন চলতি সময়ের বা ঘটিত কোন বাস্তব অস্পষ্ট ঘটনা গুলোকে সূক্ষভাবে স্পষ্ট করে করে তুলে ধরবে যা থেকে যাবে মহাকালের স্বাক্ষী হয়ে।”
যে দিন নামকরণ হয় সেদিন দুপুরেই পত্রিকার ডোমেইন কেনা হয় এবং ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করার দায়িত্ব দেওয়া হয় Triangle IT Solution এর উপর। পত্রিকার শৈল্পিক লোগোটি তৈরি করেন গ্রাফিক ডিজাইনার মোছাঃ ছালামুন কাওলা। যিনি Triangle IT Solution এর প্রতিষ্ঠাতা। মূলত তিনি কালের দূরবীনের বর্তমান উপদেষ্টা যার দিক নির্দেশনায় এ বিশাল দায়িত্ব পালন করতে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। তিনি ”কালের দূরবীন” প্রতিষ্ঠাতার বড় কন্যা।
প্রথমে শুধু নিউজ নিয়ে কাজ করলেও আমরা সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি যা মিডিয়ার অংশ হিসেবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা রয়েছে।
আজ এ আর্টিকেল লিখতে গিয়ে বার বার অশ্রু সিক্ত হচ্ছি। বাবা গত হয়েছেন ২ মাস ৪ দিন হলো। তিনি থাকলে আজ কতো খুশি হতেন। তিনি ১৯৬৯ সালে শেরপুর জেলার শ্রবর্দী উপজেলার বালিয়াচন্ডি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তবে অল্প বয়সে বাবা মারা যাবার কারণে তাঁকে জীবনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তিনি পড়াশুনা শেষ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া অধিদপ্তরে যোগদান করেন এবং সেখান থেকেই অবসরে যান। তিনি ২০২১ সালের ১২ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে আাইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ৪ কন্যা ও এক ছেলে এবং স্ত্রী কে রেখে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন নিজেরই ঠিক করা জায়গায় তাঁর প্রিয় মায়ের পাশে। তবে তিনি কালের দূরবীনে’ র মাঝে মহাকালের স্বাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ অনন্তকাল।