১৯৯৩-২০২১, কেটে গেল ২৮ বছর। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের নাম্বার ওয়ান অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এতটাই পরিশ্রম করেছে, তা বাংলা সিনেমা প্রেমিরা কখনো ভুলবে না। বাংলাদেশের সুস্থ ধারার রোমান্টিক সিনেমা মানে শাবনূর। ভয়াবহ অশ্লীলতার সময় অশ্লীল পরিচালক,হিরো, হিরোইন ও কাটপিস এর বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে রুখে দাঁড়িয়ে একেরপর সুস্থ ছবি উপহার দিয়ে দর্শকদের হলে টেনে এনেছে শাবনূর। ছবিতে হিরো কে ছিল সেটা দেখতো না। শাবনূর ছিল মানেই ছবি হিট। শুধু তাই নয় সুস্থ ধারার ছবির পাশাপাশি তৈরি করেছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও শাকিব খানের মত সুপার স্টার। শাবনূর বরাবরের মতো নতুন হিরোদের সু্যোগ দিতেন।
পুরষ্কারের দিক থেকেও ছিলেন সবার উপরে উল্লেখযোগ্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার ২ বার হেট্টিক সহ রেকর্ড সংখ্যক ১২ বার নমিনেশন পেয়ে ১০ বার পুরষ্কার লাভ করেন। যার রেকর্ড আজো কেউ ভাঙতে পারেনি। এছাড়া ও মেরিল ভোরের কাগজ থেকে ২ বার সহ মোট ১২ বার পুরষ্কার লাভ করেন।বাচসাস পুরস্কার জয় লাভ করেন ৭ বার।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২ বার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হিরোইন হিসেবে পুরস্কৃত হন। এমন কি ভারতের আন্তর্জাতিক গোয়া পুরষ্কার একমাত্র শাবনূর জয় লাভ করেন বউ শাশুড়ির যুদ্ধ ছবির জন্য। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার জয় লাভ করেন তিনি।
মোট কথা ১৯৯৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত জিরো ফিগারে ধরে রেখে দাপটের সাথে অভিনয় করছেন তিনি। তার সমসাময়িক অনেক হিরোইন ক্যারিয়ার বাঁচাতে অশ্লীলতায় গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি ছোটপর্দায় অভিনয়ের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দিতে চেয়েছিলে পরিচালক দিলীপ। কিন্তু শাবনুর একটাই কথা বলেছেন আমি নায়িকা আমি বড় পর্দার নায়িকা আমি বড় পর্দায় থাকতে চাই ছোট পর্দায় কাজ করবো না। এমনকি শাবনুরকে বিজ্ঞাপন করার জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দিয়ে বিজ্ঞাপনে নেয়া হয়েছিল। উল্লেখিত তৎকালীন সময়ে জনপ্রিয় মডেল মৌ এর পারিশ্রমিক ছিল ৫ লক্ষ টাকা। সেইসময় বায়তুল জুয়েলার্স এর বিজ্ঞাপনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে তিনি এই বিজ্ঞাপনটা করেছিলেন। তিনি যেখানেই যেতেন সেখানে সেরাদের সেরা সবার উপরে অবস্থান করতেন।
২০২১ সালে এসেও তার জন্য ভক্তদের ভালোবাসার কমতি নাই। পরিশেষে তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি ।