সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। আজ শনিবার থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।
১১ মে সচিবালয়ে এক সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজননকালে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে মাছের নির্বিঘ্নে প্রজনন নিশ্চিত করে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি করা। এই সময়ে সব বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারের সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। স্থানীয় প্রশাসন, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী মাছ ধরা বন্ধ রাখার কাজে সহায়তা করবে
মৎস্য সম্পদ সুরক্ষা ও বংশবিস্তারে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপ প্রধান মুহাম্মদ তানভীর হোসেন চৌধুরী বলেন, “সাগরে মাছ সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে টানা ২৩ জুলাই পর্যন্ত।”
সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলে পল্লী ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে সভা ও মাইকিং করে জেলেদের সচেতন করেছে।
তীরে ফিরে এসেছেন সাগর ও মোহনা থেকে জেলেরা এমনটাই জানান মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ তানভীর হোসেন চৌধুরী।
২০১৪ সাল থেকে একটা মৌসুমে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে চলছে মৎস্য অধিদপ্তর ।
৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার ফলে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করেন।