সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নেতারা। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন
বিএনপির অভিযোগ সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা করছে এবং জনগণের অধিকার হরণের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে পেছনে ফিরে তাকাতে বলব। ওনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন এ সংখ্যা ১৩ কোটি। আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না, বরং সহজলভ্যতার সুযোগ গ্রহণ করে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ট দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে। তাদের অডিও ক্লিপ ফাঁসও হয়েছে। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রী এবং সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান। সেই বৈঠকের ছবিও আছে। এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে করতে পারছে, যা কখনো সমীচীন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়, সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার শামিল। নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে, কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারও নেই।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রাকিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিজন কুমার দাস, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, আসাদ আল মাহমুদ, উবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ, রাকিব হাসান ও মহসীনুল করিম লেবু।