সফল বিজনেস প্ল্যানে যে বিষয়গুলো রাখতে হবে
১।বিজনেস পণ্য নির্বাচন:
প্রথমে আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান তা নির্বাচন করুন।আপনি যে বিষয়ে দক্ষ বা জ্ঞান আছে সেই পণ্য বেছে নিন। অথবা বাছাই করার পর সেই পণ্যর উপর যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করার পর কাজে নেমে পরুন।
২।পণ্যের উৎস:
আপনি যে পণ্যটি নির্বাচন করেছেন তার প্রকৃত উৎস খুঁজে বের করুন।আপনি কোথা থেকে খুব সহজে এবং কম মূল্যে পণ্য বা পণ্যর কাচামাল পাবেন তা খুঁজে বের করুন।
৩। পণ্যের ইতিহাস :
আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করছেন তার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন।পণ্যর আদ্যপান্ত জানলে আপনার কাজ সহজ হবে।কাস্টমার সহজেই হ্যান্ডেল করতে পারবেন।যে কেউ যে কোন প্রশ্ন করলে আমনি উত্তর দিতে পারবেন।
৪। বিজনেসের নাম:
অবশ্যই আপনার বিজনেসের নাম দিন।আমরা সবাই একে অন্যর কাছে নাম দাড়াই পরিচত।সুতরাং বিজনেস কে প্রসার করতে চাইলে অবশ্য তার নাম ঠিক করবে। সেই সাথে লোগো তৈরি করুন।আমাদের ছবি দেখে যেমন আমরা একে অপরকে চিনি ঠিক তেমনি আপনার লোগো দিয়ে আপনার বিজনেসটি পরিচিত হবে।
৫।ব্যবসার ধরণ:
প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে আপনি বি টু বি না বি টু সি না উভয় পদ্ধতিতে বিজনেস করবেন।
৬।টার্গেট কাস্টমার :
আপনার পণ্যটি কাদের জন্য উপযোগী তা নিচের ক্যাটাগরি করে ফেলুন।
ক) জেন্ডার
খ) বয়স
গ) পেশা
৭। টার্গেট কাস্টমার এর কাছে পৌঁছানো উপায়:
আপনি যেহেতু অনলাইনে বিজনেস করছেন তাই সোসালমিডিয়াগুলোতে আপনা বিজনেসের নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন।যেমন ফেসবুক,ইমু হোয়াটসঅ্যাপ,প্রিন্টারেস্ট,লিংকড-ইন,স্ন্যাপচ্যাট,টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদিতে অ্যাকাউন্ট করুন।
৮।কমপিটিটিভ অ্যাডভান্টেস:
কেন আপনার পণ্যটি বা বিজনেসটি অন্যদের থেকে আলাদা সেটা আপনাকে ক্রেতাদের বুঝাতে হবে।আপনার ব্যবসার বা পণ্যর বিশেষত কি তা পরিষ্কার করতে হবে।
৯।বাজেট প্ল্যান:
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই আপনি আপনার বিজন্যাসের একটা বাজেট প্ল্যান করে ফেলুন।সেটা কমপক্ষে ১ বছরের করুন। আসলে একটা ব্যবসা শুরু করার পর বেশি ভাগই লসে শুরু হয়।তাই অবশ্যই আপনাকে অন্তত ১ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
১০। লক্ষ্য নির্ধারণ:
লক্ষ্য ছাড়া সফলতা সম্ভব নয়।আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার জন্য লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।
মোছা: ছালামুন কাওলা
সিইও
Triangle IT Solution