একটা সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন কে না দেখে? অথচ একটা ভালো ব্যবস্থাপনার অভাবে আমরা সেখানে পৌছাতে পারছি না। যদি খাত ওয়ারী ভালো কিছু পরিকল্পনা করতে পারতাম তাহলে সুন্দর একটা বাংলাদেশ বা সোনার বাংলা গড়া কি খুব বেশি কষ্টসাধ্য ছিল?
প্রথমেই আমরা দৃষ্টি দিবো শিক্ষা ব্যবস্থার উপর। যেখানে আমরা দেখতে পাবো ১৪ কিসিমে’র শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কমন নাগরিক বোধ তৈরী করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা কি এ বিষয়ে ভেবেছি? কেউ ইংরেজি মাধ্যমে, কেউ আবার মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে, কেউ বাংলা মাধ্যমে, ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা নিচ্ছি। আমরা ভেবে দেখেছি এই মাধ্যম গুলো আমাদেরকে পরষ্পরের প্রতি বিদেষী করে গড়ে তুলছে নাতো? না কমন কোন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে?
এবার আসি শিক্ষকদের কথায়। আমরা সবাই জানি রাষ্ট্র যেভাবে মানুষিকতা তৈরী করতে চাবে আমরা সেভাবে তৈরী হবো। কিন্তু যারা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরীর মানুষ সৃষ্টি করে তারাই যদি বিভাজনের মধ্যে থাকে ১ম শ্রেণী, ২য় শ্রেণী, ৩য় শ্রেণী ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করা থাকে তাহলে তারা কিভাবে বিভাজিত হয়ে একটা কমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে সবাইকে গড়ে তুলবে? তাদের নিজেদের মধ্যে যখন শ্রেণীর প্রতিযোগিতা চলে তখন তাদের সংস্পর্শে যারা আসবে তাদেরকে তো অবশ্যই প্রতিযোগিতাই শেখানো হবে। সমাজে তার প্রতিফলন হচ্ছে না কি? আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একটু উঁচু শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছে সে তার নিচের শ্রেণীকে মানুষ বলে গণ্য করছে না। এগুলো আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলেই প্রমাণ পাই। অথচ আমরা শিক্ষকদের সতন্ত্র্য বেতন কাঠামো প্রস্তুত করতে পারতাম যেখানে কোন শ্রেণি থাকবে না অথচ গবেষণা লব্ধ শিক্ষার মূল্যায়ন থাকবে তাহলে কি শিক্ষকরা গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষা পদ্ধতি প্রস্তুত করে একটা উন্নত রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখতে পারতো না?
আমরা জানি পেটে ক্ষুধা রেখে কোন চর্চা সম্ভব না। কিন্তু আমরা দেখছি যে শিক্ষকদের এমনভাবে রাখা হয়েছে যে তাদের জ্ঞান চর্চার পরিবর্তে পেট চর্চা করতে হচ্ছে। শিক্ষার মারফতে মূল্যবোধ তথা মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় ; তথাপি অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্হাও প্রয়োজন। তা না হলে জীবনের উন্নয়নে অনেক বিলম্ব ঘটবে।মনুষ্যত্বের তাগিদে মানুষকে উন্নত করে তোলার চেষ্টা ভালো; কিন্তু প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি না পেলে মনুষ্যত্বের আহ্বান মানুষের মর্মে গিয়ে পৌঁছাতে দেরি হয় বলে অন্নবস্ত্রের সমস্যার সমাধান একান্তই প্রয়োজন।