গতকাল ছিল ই-ক্যাবের এজিএম। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ২০২১ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত কাল শনিবার। অনুষ্ঠিত সভায় ই-ক্যাব এর সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারন সম্পাদক ওয়াহেদ তমালসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উইমেন এবং ই-কমার্স ফোরামের সভাপতি নাছিমা আক্তার নিশা উপস্থিত ছিলেন। পেশকৃত প্রতিবেদনের ওপর সভায় উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আলোচনায় অংশ নেন ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশ ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, সমস্যা নিরসন ও এখাতের উদ্যোক্তাদের একত্র করণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর রাজিব আহমেদ মাত্র ১০০ জন তরুণকে নিয়ে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামে ফেসবুক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রুপে ই-কমার্স খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও স্কাইপে অনলাইন আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের প্রচারণা ও এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অধীনে রেজিস্ট্রেশন পায় সংস্থাটি। ই-ক্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সভাপতি হয় রাজিব আহমেদ । প্রতিষ্ঠার দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাবের সদস্য হয়েছে।
কার্যক্রম এর উদ্দেশ্য, ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের সংঙ্ঘবদ্ধ করার মাধ্যমে ভোক্তাদের আস্থা ও ভরসার জায়গা তৈরি করা। শিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে ই-কমার্সের সুফল পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে ই-ক্যাব। সরকারি-বেসরকারি সহযোগীতায় সংস্থাটি ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
এমএলএম, রিক্রুটিং এজেন্সি বাদে সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়ীরা ই-ক্যাবের সদস্য হতে পারে। প্রতি অর্থবছরে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে মেম্বারশিপ সচল রাখতে হয়। বর্তমানে সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা ১ হাজার তিন’শ এবং বর্তমানে ফেসবুক গ্রুপ-এ সদস্য সংখা ৩.৩৩৭ লক্ষ। রাজিব আহমেদ এর প্রতিষ্ঠিত ই-ক্যাব হাটি হাটি পা পা করে আজ বিশাল জায়গা করে নিয়েছে ই-কমার্স শিল্পে।