আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তিনি। ক্ষমতাসীন দলে এর থেকে ক্ষমতার দাপট তাঁকে অহংকারী করেনি। যিনি ইচ্ছে করলেই শহরের নামীদামী সব এসি সেলুনে ফেসওয়াশ করতে পারেন। শেভ ও চুলে দামী কলপ করতে পারেন। করার পর হয়তো অনেকে বিলই নিতে চাইবে না। অথচ ক্ষমতার সর্বোচ্চতায় থেকেও অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল নিজেকে রাখতে ভালোবাসেন সাধারণের মাঝে।
চাঁনরাতে ফ্রেস হওয়ার জন্য মানুষ টাকাকে টাকা মনে করে না। মাস্ক, স্কার্বসহ অসংখ্য সৌন্দর্য্য কসমেটিকে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে চায়। এসব সৌন্দর্য্যকে সাইডে রেখে তিনি নিজ স্বত্ত্বায় বাঁচেন। ছাত্রজীবনের সেই কষাঘাত, সেই সংগ্রামী সময়ের মতো এখনো জাগিয়ে রাখেন। মরচেপড়া দরিদ্র ঘরে পরম আত্মতৃপ্তি নিয়ে তিনি বসে যান সেলুনের চেয়ারে। চাঁনরাতে গভীর আনন্দ খেলা করে সনাতন ধর্মের হেয়ার কাটিং মাস্টারের চোখে মুখে। মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল কখন ঘুমিয়ে পড়েন তা টেরই পান না সনাতন মুখ।
ঘুম ভেঙে গেলে কাটিং মাস্টার কৃষ্ণা চেয়ে দেখেন তাঁর নির্মোহ, নিরহংকার সুরত। সপ্তাহে দুয়েকবার দেখা হয় তাদের। চাঁন রাতের জন্য অপেক্ষায় থাকেন কৃষ্ণা বাবু। ক্ষমতা কাউকে কাউকে বড় করে তোলে। যখন সে ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে নিজস্বতায় সবার হয়ে যায়। অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল সবার হয়ে যায় এভাবেই।
কমিটি বাণিজ্য, জমি বাণিজ্যসহ অসংখ্য বিতর্ক তাঁকে নিয়ে তোলা যায়। তর্ক বিতর্ক শেষে ময়মনসিংহের আওয়ামী রাজনীতির দুর্গম পথ তাঁকেই খুঁজে ফিরে। কেননা তিনি অসাধারণ হয়েও অতি সাধারণ। সাধারণকে নিয়ে অশুভ শক্তির বিনাসী চিন্তাকে মাড়িয়ে অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এগিয়ে যান আপন গতিতে। সেজন্যই সকলেই বলে ওঠে একজন মোয়াজ্জেম রাজনীতির অনন্য শিল্পচূড়া।