Saturday, February 15, 2025
No menu items!
প্রথম পাতাময়মনসিংহ বিভাগের লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি

ময়মনসিংহ বিভাগের লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি


ময়মনসিংহ বিভাগ সাহিত্য-সংস্কৃতির বিচিত্র সম্ভারে মুখরিত । বাংলাদেশের ৮তম বিভাগ হিসেবে চিরায়ত ঐতিহ্য কেবল এর প্রকৃতি সৌন্দর্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাহিত্য-সংস্কৃতিতেও সারা বাংলাদেশে প্রশংসার দাবিদার। মঙ্গলকাব্য, পুঁথি, চর্যাপদ, কবি, জারী, সারী, বাউলগান, একদিল গান প্রভৃতি বিচিত্র সাহিত্য সম্ভার নিয়ে এ বিভাগ অনেক আগে থেকেই সারা বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্বকারী ।
পুঁথি সাহিত্যি


ময়মনসিংহ জেলার দুজন পুঁথি সাহিত্যিক হলেন গফরগাঁও-এর আাবদুল জব্বার মুন্সী ও সদরের মোহাম্মদ আাকবর আালী ।আবদুল জব্বার মুন্সীর রচিত পুঁথির নাম ‘মদিনা’ এবং আকবর আলীর পুঁথির নাম ‘অতুলা সুন্দরীর কেচছা’।
বর্তমান শেরপুর জেলায় মাত্র দুইজন পুঁথিকারের সন্ধান পাওয়া যায় । এরা হলেন বসির উদ্দিন মুন্সী ও রমজান আালী মুন্সী। বসিরউদ্দিন মুন্সীর পুঁথির নাম ‘শাহাদত নামা’ ও ‘শের আালী খান ও পদ্মিনী কন্যার পুঁথি’ এবং রমজান আলী মুন্সীর পুঁথির নাম ‘ছহিহ তাহইয়াতুচ্ছালাত’
নেত্রকোনার পুঁথিকারকদের মধ্যে হাজী মহাম্মদ মুজাফর হোসেন সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ ল্ভ করেছেন। তার রচিত পুঁথির নাম ‘ছহি ছফরে মক্কা ও মদীনা’
জামালপুর জেলা পুঁথি সাহিত্যে অত্যন্ত্য সমৃদ্ধ । এ জেলায় যেমন অনেক পুঁথিকার জন্মগ্রহণ করেছেন তেমনি অনেক পুঁথিকাব্যেরও জন্ম হয়েছে । এদের মধ্যে ছয় জন পুঁথিকার সারা দেশব্যাপি পরিচিত । তারা হলেন মৌলোভী সৈয়দ আবদুর রহমান পুঁথির নাম ‘উমদাতুল মোছায়েল’ ও ‘এনায়েত রহমান’, সৈয়দ তজাম্মল হোসেন পুঁথির নাম ‘দেলমোহিত’, মুন্সী মোহাম্মদ তাহের উদ্দিন পুঁথির নাম ‘আফতাবে হেদায়েত’, শাহ হামিদ আলী ফকির পুঁথির নাম ‘রোজহাসর ও রাখাল রাজার বিচার’, হাজী মীর্জা মো: জাফর আলী তার পুঁথির নাম ‘বোরহানে হক ও কৃষক সহায়’ এবং মোক্তার ফজলুর রহমান পুঁথির নাম ‘আজনবী’ ।

ময়মনসিংহ বিভাগের লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি


কবিগান ও কবিওয়াল
চন্দ্রকুমার দে, মনোরঞ্জন চৌধুরী ও বিজয় নারায়ণ আচার্যের এ সকল প্রবন্ধ থেকে ময়মনসিংহ বিভিাগের কবিগান ও কবিওয়ালাদের সম্পর্কে একটি তথ্য-চিত্র পাওয়া যায় । বৃহত্তর ময়মনসিংহে কবিগানের প্রচলন শুরু হয়েছিল ১৪৫০ থেকে ১৫০০ খৃষ্টাব্দে । সে হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ তথা কোলকাতায় কবিগান শুরু হওয়ার অনেক আাগেই এ অঞ্চলে কবির প্রচলন শুরু হয়েছিল । অতএব কবিগান যে ময়মনসিংহের একটি পূর্বতন সংগীতসম্পদ এ কথার দ্বিরুক্তি নাই। বৃহত্তর ময়মনসিংহের কবিগান ছিল বিশুদ্ধ কবিগান । কবিয়াল বিজয় নারায়ন আচার্যের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যাপক যতীন সরকার মতোদয় উনবিংশ শতকের ষাটের দশকের ময়মনসিংহের বিখ্যাত কবিয়ালের নাম উল্লেখ করেছেন । এরা হলেন : আামতলার লোচন কর্মকার, চারাগাতিয়ার হারাইল বিশ্বাস, তারাচাঁদপুরের চন্ডী প্রসাদ ঘোষ, দুর্গা প্রসাদ ঘোষ, কাশিপুরের লোকনাথ চক্রবর্তী ও শক্তিরাম কাপালী । উনিশ শতকের শেষ দিকের কবিওয়ালাদের পরিচয় দিতে গিয়ে হরিচরণের পুস্তকের ভূমিকায় পূর্ণচন্দ্র ভট্টাচার্য ময়মনসিংহের বিখ্যাত কয়জন কবিয়ালের নাম উল্লেখ করেছেন । সমসাময়িককালে এদেরকে একত্রে ‘পঞ্চরাম’ বলে ডাকা হতো । এদের নামের আাদি শব্দটি রাম বলেই এদেরকে সম্মিলিতভাবে ‘পঞ্চরাম’ বলা হতো। এরা হলেন : রামু, রামগতি, রামকানাই, রামজয় ও রাম সুন্দর ।


জারী গান
ষোড়শ শতকে জারী গান শুরু হলেও এই গানের উৎকর্ষতা লাভ করে উনবিংশ শতকের মধ্যপাদ থেকে বিংশ শতকের ষাটের দশক পর্যন্ত । এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, খুলনা, বরিশাল চব্বিশ পরগনা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অনেক জারী গানের দল ছিল। এ সকল জেলার মধ্যে মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী ও ময়মনসিংহ গীতিকার দেশ বৃহত্তর ময়মনসিংহে জারী গানের ব্যাপকতা লক্ষ করা যায়। জারী গান সাধারণত দুই ভাবে গাওয়া হয়ে থাকে। সাধারণ জারী গানের আাসরে গায়েনবৃন্দ নৃত্যের তালে তালে বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে গান গায় দ্বিতীয়ত মর্শিয়া বা শোকগাথা গাওয়ার সময় দলের সবাই বসে বসে ব্যথা-বিহ্বল অনুভবের অভিব্যাক্তি ঘটিয়ে এই গান পরিবেশন করে । জারী গানের দলপতি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে অবিহিত হয় । যেমন ময়মনসিংহে ‘বয়াতী’; রংপুরে ‘হাদী’; রাজশাহীতে ‘ওস্তাদ’ । আাবার দলের মধ্যে যারা নাচে ও গানে অংশগ্রহণ করে তাদেরকে ময়মনসিংহে ‘দোহার’ ও উত্তরবঙ্গে ‘পাইল’ বলা হয়ে থাকে।
বারমাসী গান
এক সময়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সকল এলাকাতেই এই বারমাসী গান প্রচলিত ছিল। মৈয়মনসিংহ গীতিকার পালা গানগুলিতে এই বারমাসী গানের বর্ণনা রয়েছে । পালাগুলোর মধ্যে ‘মদিনা’ বা ‘কমলার’ পালা দুটির বারমাসী বিশেষভাবে করুণ-রসাত্মক। বারমাসী প্রকৃত অর্থে বিচ্ছেদ গান। যেমন:-
‘’আমার প্রাণ বন্ধুয়া দেশে আইলনা ।
কত মাইনষের আনিগুনি গো আামার বন্ধুর মত কেউরে দেখিনা ।।
সইগো, বৈশাখ গেল জষ্ঠি আইল আাম কাডল পাইক্যা রইলো গো
কত জনায় খাইয়া গেল আামার বন্ধে খাইলনা ।।‘’


গাইনের গীত
‘গাইনের গীত’ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে এককালে ব্যাপক প্রচলন ছিল। ময়মনসিংহের কোন কোন অঞ্চলে এখনও ‘ দানরী’ ও ‘সাপের ঝার ফুঁকে’র সাথে এ কালেও গাইনের গানের অংশ বিশেষ উচ্চারিত হতে দেখা যায় । ময়মনসিংহের পল্লী অঞ্চলের গৃহস্থ ঘরের মেয়েরা উপস্থিত কোন বালা-মুসিবত থেকে রেহাই পাবার জন্য ‘একপালা গাইনের গীত’ মানসিক/মানদ করতো । ‘গাইনের গীত ‘পুঁথির বিষয়কে অবলম্বন করে গীত হয়ে থাকে । মূলত ‘গাজী কালু চম্পাবতী’ পুঁথির কাহিনীই এর উপজীব্য। তবে কোন কোন সময় ‘সোনাভান’; ‘গুলে বাকাউলী’ ও ‘সয়ফুল মূলক বদিউজ্জামাল’ কেচ্ছা বা পুঁথি অনুসারেই এর বিস্তৃতি হতো । গাজী কালু চম্পাবতীর কাহিনী ব্যাপক জনপ্রিয় বলেও বহুলগীত বলে গাইনের গীতের ‘ গাইন’কে ‘গাজীর গাইন’ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে । কবীগানে যেমন ‘কবিয়া’ ; জারী গানে যেমন ‘বয়াতী’ থাকে ঠিক তেমনই গাইনের গীতে থাকে একজন গাইন । ময়মনসিংহের নানা জায়গায় যে গাইনের গীত অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় তাতে কখনও কোন গাইনকে গেরুয়া রঙ্গের পোশাক পড়তে দেখা যায় না । দেখা যায় লাল সালু কাপড়ের ঘাগরি ও লাল কাপড়ের ‘ ফতুয়া ‘ গায়ে দিয়ে গান গাইতে ।


সারি গান
সারি গান সমবেত কন্ঠে গাওয়া ঐতিহ্যবাহী গান । আাষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস অবধি এ গান গাওয়া হয় । বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ভাটি অঞ্চলে যেখানে বর্ষাকালে হাওড়-বাওড় কানায় কানায় ভর্তি হয় তখনই অনুষ্ঠিত হয় এ জাতীয় গান । বিশেষ কোন দিনে, নৌকা দৌড় প্রতিযোগিতায় নৌকার চালকরা সম্মিলিত কন্ঠে এই গান গেয়ে থাকেন । এটি নোকা দৌড় প্রতিযোগিতার প্রাণ স্পন্দন । এই গানের সুর, তাল ও লয় প্রতিযোগিদের মনে উৎসাহ যোগায় যা তাদেরকে জয়ী করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে । উৎসব আার গান এ দুয়ের এক অপূর্ব মিত্রতা দেখা যায় ময়মনসিংহের নৌকা বাইচে । স্থানীয় ভাষায় দৌড়ের নৌকাকে বলা হয় ‘দৌড়ের নাও’ যারা বৈঠা বায় তাদেরকে বলা হয় ‘বাইচাল; নৌকার দু’কিনারাকে বলা হয়’ বাতা এবং তাদের গাওয়া গানকে বলা হয় ‘হাইর’। যে স্থানে নোকা দৌড় অনুষ্ঠিত হয় তাকে বলা হয় আরঙ্গ । সাজানো গোছানো দৌড়েট নাও’র সৌন্দর্য এবং তার বাইচালের বিচিত্র সুর, একই সাথে একই নৌকার বাইচালদের একই তাল বৈঠা চালানো, পানির ‘ছপাছপ’ আাওাজ অগণিত দর্শকের প্রাণে এক অপূর্ব মূর্ছনার সৃষ্টি করে। সারি গানে দিশা আছে ।বাইচালদেরকে কোন দিশা ধরিয়ে দিয়ে বয়াতি নিজের ইচ্ছামতো মিলিয়ে মিলিয়ে গানগুলি তৈরি করে থাকেন।
দিশা- আল্লা আল্লা বল ভাইগো নবী কর সার
নবীর কলিমা পড়, হইয়া যাইবা পার।।
বয়াতি-আল্লা তোমার নাম, তোমার কাম,তোমার মেহেরবানি,
তুমি দরদিয়া শুকাইতে পার পাহাড়ে নেও পানি।।


বাউল গান ও গায়ক

বাউল গাম মূলত ধর্মভিত্তিক গান । ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের কাহিনী কিংবা তও্বকথা নিয়ে দুজন বাউলের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক গান এটি । মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতীর অঞ্চল ময়মনসিংহ বহু পূর্বকাল থেকেই বাউল গানে সমৃদ্ধ ছিল । এখানকার হাওড়, বাওড়, নদী-নালা,খাল-বিল পরিবেষ্টিত সমতল ভূমি বাউল গানের চারনভূমি হিসেবে খ্যাত । উনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশক পর্যন্ত এই অঞ্চলে বাউল গান, গান রচয়িতা ও গায়কের উৎকর্ষতা লক্ষ করা যায় । এ সময়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বেশ কয়েকজন বাউল গায়ক ও বাউল গান রচয়িতার আবির্ভাব হয় । এদের মধ্যে ফকির উমেদ আলী জালাল খাঁ কানা জইমথ, উকিল মুন্সী, আলী হোসেন আাবেদ আালী, তালে হোসেন, সিরাজ আালী, চান মিয়া, প্রভাত কানা সারা বঙ্গদেশই বাউল গান রচনা করে বাউল গেয়ে সমধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন । এছাড়া আারও অনেক বাউল এই অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করে এই শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করেছেন । বাউল গানের প্রবাদপুরুষ গীতিকার মোঃ জালাল উদ্দিন খাঁ (১৮৯৪-১৯৭২) পাঁচ খন্ডে সমাপ্ত বৃহৎ মরমী গানের রচয়িতা বাংলাদেশে তার রচিত বাউল গানগুলি কেবল ফকির লালন শাহ ও হাসন রাজার রচিত মরমি গানের সাথেই অতুলনীয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহের আরেকজন বিখ্যাত বাউল গায়ক হচ্ছেন কানা জইমত (১৮৮৯-১৯৪৯)। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে এক প্রলয়ংকরী ঝড়ে ময়মনসিংহ জেলখানা ভেঙ্গে যায় । এ উপলক্ষে তিনি যে বিখ্যাত গানটি রচনা করেছেন তা আাজ চর্চার অভাব বিস্তৃতপ্রায়।গানটির ভাষা ছিল এইরুপ-
“ঘটল আাজব লীলা, ময়মনসিংহ জিলা, সোমবারে বৌকাল বেলা ভাঙ্গলো জেলখানা/১৩৩৯ সনে, বৈশাখেরই ছাব্বিশ দিনে, আাসিয়া দারুণ তুফানে লাগায় লাঞ্ছনা । দালানকোঠা ভাইঙ্গা পড়ে,কত কয়দি পইড়া মরে, কত কয়দি ভাগে ডরে নিষেধ শুনেনা । তুফান আাইসা জোরে করে, সব বাবুরা চিৎকার পারে, হরি যদি উদ্ধার করে বায়স্কোপ দেখব না।।


প্রবাদ প্রবচন ও ছড়া
যুগ যুগ ধরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ প্রবাদ প্রবচন ও ছড়ায় সমৃদ্ধ ।
প্রবাদ প্রবচনঃ
যেমন কু্ত্তা তেমন মুগর। আইস্যা আইস্যা কয় কতা, হাই মরছে কেদাল দিতার । আগেও আাডেনা,পথও ছাড়েনা।
ছড়াঃ
১/ অলি ললিগো কাল বাদুড়ের ছাও
পহিল্য লাইল্যা ডাঙ্গর করলাম ফড়িং ধইর্যা খাও।।
২/ এবেন টু বাসকো
রাইটানা টেসকো।
সুলতানা বিবিয়ানা
লাটুম বাবুর বৈঠক খানা
পান সুবারী খাইতে
মামুর বাড়ি যাইতে
পানের আগো মরিচ বাডা
ইস্কুল ঘরের চাবি আাডা
যার নাম রেনু বালা
তারে দেম গলার মালা।।


ওঝার ঝাড়-ফুক বা সাপের মন্ত্র
ময়মনসিংহের পূর্বাঞ্চলের গ্রাম্য এক কবি এ পৌরাণিক কাহিনীকে কেন্দ্র করেই পঞ্চদশ/ ষোড়শ শতকে লেখেন ‘ মনষার ভাষান’ বা ভাসান যাত্রা । সাপের মন্ত্রাবলীতে এই বেহুলা লখিন্দরের কাহিনিও উল্লেখ করে ঝার ফুক করা হয়, গ্রাম্য ওঝাদের বিশ্বাস এই পদ্মাদেবীর দোহাই দিলে সাপের বিষ রোগীর দেহ থেকে নেমে পরে । আধুনিক শিক্ষার বদৌলতে মানুষ সাপের মন্ত্রের এইসব ঝাড়-ফুকের প্রতি আাস্থা হারিয়ে ফলেছে । এরুপ ঝারতে গিয়ে ওঝা যে মন্ত্র ব্যাবহার করে তা হলো:
’ধর্ম চালম কর্ম চালম
সাপের মই টক চালম,
আাসা আাসি কমন চালম
ধর্ম চালম কর্ম চালম ।।’


গ্রাম্য শিলুক ও ধাঁধা
বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রচলিত গ্রাম্য শিলুক বা ধাধাসমূহকে কয়েক ভাবে ভাগ করা পারে । যেমন ১/ গদ্য শিলুক ২/ দরবারি শিলুক ৩/ বিয়ের শিলুক ৪/ ছুটকী শিলুক ৫/ শিশু শিলুক।
বিয়ের শিলুক এর উদাহরণ:
কনে পক্ষ-
আছছালামু আলাইকুম্ হেন্
জামাই আইছে শ্বশুড় বাড়ি, আপনারা আইছেন কেন?
বর পক্ষ-
ওয়ালাই আছছালাম উবা,
জামাই আছে শ্বশুর বাড়ি, আমরা আইছি শোভা ।।
ছুটকী ছিলুক এর উদাহরণ :
ঘর আছে দরজা নাই মানুষ আাছে রাও নাই।।
উত্তরঃ কবর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য