আগেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিলের মুখোমুখি হয় আলবিসেলেস্তেরা। চোটে আক্রান্ত মেসিকে নিয়েই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করার মিশনে নামে আকাশি-নীলরা। এতে অবশ্য কোনো সুফল পায়নি দলটি। নান্দনিক ফুটবলের জন্য খ্যাত ল্যাটিন আমেরিকার এই দুই দল পেশিশক্তির আধিক্য দেখিয়ে গোল শূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। এতে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ভাগ্য ঝুলে ছিল পরবর্তী ম্যাচ পর্যন্ত।
কিন্তু এক ঘণ্টা পর শেষ হওয়া আরেক ম্যাচে ইকুয়েডরের সাথে চিলি ২-০ গোলে হেরে যাওয়ায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যায়। ব্রাজিলের পর ল্যাটিন অঞ্চলের ২য় দল হিসেবে ২০২২ বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠলো আর্জেন্টিনা।
এর আগে শেষ ৫টি ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে কাতার বিশ্বকাপে খেলা, এমন পরিসংখ্যান নিয়েই ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। দুই বছর চার মাস ধরে কোনো ম্যাচে হারের মুখ দেখে না আলবিসেলেস্তারা, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের সেরা খেলোয়াড় নেইমারের না খেলাটা যেন সোনায় সোহাগা হয়ে এসেছিলো মেসিদের সামনে।
কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, পুরো ম্যাচ খেলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মেসি। অন্যদিকে নেইমার ছাড়া কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সেলে সাওদের। ভিনিসিয়াস জুনিয়র একাধিক বার প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে গেলেও ফিনিশিং দিতে পারেননি। শেষ দিকে মেসির একটি সুযোগ অ্যালিসন নষ্ট করে দিলে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
দিনের শেষ ম্যাচে টেবিলের তিনে থাকা ইকুয়েডর ২-০ গোলে চিলিকে হারালে সুবিধা পায় আর্জেন্টিনা। এই অঞ্চলের ২য় দল সব মিলিয়ে ১৩তম দল হিসেবে ২০২২ বিশ্বকাপে নাম ওঠে আলবিসেলেস্তাদের।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বাছাই পর্বে ১৩টি করে ম্যাচ খেলেছে। ব্রাজিলের ১১ জয়ের বিপরীতে আর্জেন্টিনা জিতেছে মাত্র ৮টিতে। ব্রাজিলের ড্র দুইটি। আর্জেন্টিনার পাঁচটি। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ব্রাজিল। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা।