বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) বাংলাদেশ সময় সকাল সারে ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি জিবিএস নামে বিরল নিউরোলোজিক্যাল রোগে ভুগছিলেন। টানা দেড় বছর চিকিৎসা শেষে অবশেষে ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসবে। পরে শ্রদ্ধা জানাতে নেওয়া হবে শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে তাকে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টায় মরদেহ নেওয়া হবে এফডিসিতে। পরে গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে ফারুককে। ফারুকের ইচ্ছা অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৭৫ সালে তার অভিনীত সুজন সখী ও লাঠিয়াল সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর লাঠিয়ালের জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে সূর্যগ্রহণ ও নয়নমণি, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের সারেং বৌ, আমজাদ হোসেনের গোলাপী এখন ট্রেনেসহ বেশকিছু সিনেমায় চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়। ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি চিত্রনায়ক ফারুক ২০১৬ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।