প্রথমবারের মতো মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনে সফলতা দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিৎসক। তাঁরা এটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বেশ বড় অর্জন বলে দাবি করেছেন । প্রতিস্থাপনযোগ্য কিডনির খোঁজ পেতে একেকজন রোগীকে গড়ে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এর ফলে চূড়ান্তভাবে অঙ্গ দাতার ঘাটতি দূর হবে।
চিকিৎসকেরা প্রথমে শূকরের জিন বিন্যাস থেকে শর্করা তৈরি করে এমন একটি জিন বাদ দিয়ে দেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ-এর অনুমতি নিয়ে সেই পরিবর্তিত জিনের একটি শূকরের জন্ম দিয়ে সেটি বড় করে এটির শরীর থেকেই পরে কিডনি প্রতিস্থাপন করেন তাঁরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, যে নারীর শরীরে শূকরের কিডনি লাগানো হয়েছে তিনি ‘ব্রেইন ডেড’ ছিলেন। লাইফ সাপোর্টে থাকা ওই রোগীর কিডনিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাঁর পরিবারের অনুমতি নিয়েই অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকেরা। রোগীর পেটের বাইরে পায়ের ওপরের দিকে কিডনিটি রক্তনালির সঙ্গে যুক্ত করে দেন এবং তিন দিন ধরে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ চালান।
গবেষক ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন রবার্ট মন্টগোমারি জানান, প্রতিস্থাপনের পরপরই স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করেছে নতুন বসানো কিডনি। মানুষের কিডনি বসিয়ে ‘যে পরিমাণ মূত্র নিষ্কাশনের আশা করা যায়’ এ ক্ষেত্রেও ঠিক ততটাই পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে মানুষ ছাড়া অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রেও জিন রূপান্তর না করা কিডনি বসিয়ে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তীব্রভাবে সেটা প্রতিহত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি।