Wednesday, September 18, 2024
No menu items!
প্রথম পাতামাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের স্বীকার ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থী

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের স্বীকার ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থী

তাসকিন রহমান

রাজধানীর শাহজাদপুর এলাকায় তাহফিজুল উম্মাহ ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি নামের একটি বেসরকারি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ ক্বারী মাওলানা আবুল বাশার হেলালি (৬৫) বেশকিছু যাবৎ ধরে প্রতিষ্ঠানে থাকা আবাসিক দু’জন ছাত্রী এবং ছাত্র কে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন।

গত সপ্তাহে মাসুমা নামের (১০) চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী কে ধর্ষণ করলে পরদিন তার প্রবাসী মা কে বিষয়টি জানায়। এরপরে তার মা বিষটি নিশ্চিত হলে অন্য এক এক অভিভাবকের কাছে সেও বিষটি জানায়। এর পরে এক পর এক স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেন, ঔই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে একই প্রতিষ্ঠানের হিফজ বিভাগের আবাসিকে থাকা আরেক ছাত্রী সুমাইয়া (১২) সেও বিষয়টি জানান তার পরিবারের কাছে তিনি আরও বলেন প্রায়শ রাতে তাদের থাকার কক্ষে যেয়ে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। গত সপ্তাহে বিষয়টি জানাজানি হলে একপর্যায়ে অভিযোগ নিয়ে ধর্ষণকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে কাছে গেলে তিনি এই বিষয়ে এড়িয়ে যান এবং মাদ্রাসা ছুটি ঘোষণা করে এবং মাদ্রাসা বন্ধ করে চলে যান। তবে বিষয়টি এলাকাবাসী কাছে জানাজানি হলে ছড়িয়ে পড়ে চরম উত্তেজনা। এরপর বেড়িয়ে আসে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ। অবশেষে ১২ই জুন রবিবার বিকেল নাগাত অভিযোগকারীরা এবং এলাকাবাসী একহয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে তাকে আটক করতে যায় এবং মাদ্রাসা ভাংচুর চালিয়েও তাকে ধরতে পারেনি পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক হলে পুলিশ এসে এলাকাবাসী কে সড়িয়ে নেয়। এবং অভিযোগকারীদের শান্ত করেন বিষয়টি নিয়ে একপ্রকার আস্থস্ত করেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্বীকারোক্তি দেয় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক এবং এলাকাবাসী রয়েছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ, যার মধ্যে মাদ্রাসা অন্যান্য শিক্ষকরাও দিয়েছেন অভিযোগ ধর্ষণকারী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার হেলালি বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানায় ধর্ষক হাফেজ আবুল বাশার তার ছেলেকে রাতে ডেকে নিয়ে হাতা-পা টিপিয়ে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করে। তার ছেলেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাথে কিছু স্বীকারোক্তি দেয় আরও বেশ কয়েক জন ছাত্র যাদের সাথে এই কাজ করেছেন আবুুল বাশার হেলালি। এবং বিগত ১৫ বছর আগে যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা অবস্থায় দু’জন ছাত্রকে ধর্ষণ করেছেন। এলাকায় স্থানীয় করেকজন জানান, আবুল বাশার হেলালি ৫ মেয়ের জনক যাদের মধ্যে ২জনকে বিয়ে দিয়েছেন। সবার ছোট মেয়েটি নমব শ্রেনীর ছাত্রী। ঘটানা প্রকাশের দিন তার এক মেয়ে বাচ্চা প্রসব করে আইসিইউ তে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিল এবং মেয়ের প্রসবী বাচ্চাটি এনআইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া গেলেও এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেই সাথে অভিযোগকারীরা তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করছেন। এবং এই নিয়ে এলাকাবাসীও চরম ফুঁসে ওঠে। এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন, সেই সাথে আর কখনো এমন ঘটনা কারো সন্তানের সাথে না ঘটে, সেই দাবি করেছেন অভিযোগকারী স্বজনরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য