বিশ্ব মৌমাছি দিবস ২০ মে পালিত হয়। ১৭৩৪ সালের এই দিনে মৌমাছি পালনের প্রবর্তক আন্তন জানসা জন্মগ্রহণ করেন।
স্লোভেনিয়ার ব্রেজনিকায় ২০১৮ সালে বিশ্ব মৌমাছি দিবস উদযাপন।
আন্তর্জাতিক দিবসের উদ্দেশ্য হল বাস্তুতন্ত্রের জন্য মৌমাছি এবং অন্যান্য পরাগায়নকারীদের ভূমিকাকে স্বীকার করা।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলি ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ২০ মে বিশ্ব মৌমাছি দিবস হিসাবে ঘোষণা করার জন্য স্লোভেনিয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে। তখন থেকে এ তারিখে দিবসটি পালন করা হয়
জীবজগতে নানা ধরনের প্রাণীর বসবাস। রয়েছে বিচিত্র রকমের প্রতঙ্গ প্রাণী।মৌমাছি তাদের মধ্যে অন্যতম। মৌমাছির ইংরেজি প্রতিশব্দ Honey bee. মৌমাছি Arthropoda পর্বের Insecta শ্রেণির Hymenoptera বর্গের Apis গণভুক্ত একটি সামাজিক প্রতঙ্গ।পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি পাওয়া যায়।বাংলাদেশে এ পর্যন্ত Apis গণভুক্ত পাঁচটি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।তবে সচরাচর তিন প্রজাতির মৌমাছি পাওয়া যায়,যথা-Apis indica, Apis dorsata, Apis florea .
মৌমাছি সামাজিক প্রতঙ্গ। এরা সমাজের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য থাকে। এদের সমাজের প্রতিটি সদস্য সমাজের জন্য নিবেদিত প্রান। এরা নিজের স্বার্থে কাজ করে না। মৌমাছিরা সামাজিক রীতিনীতি কঠোরভাবে মেনে চলে।
৫০ হাজার থেকে এক লাখ মৌমাছি একত্রে কলোনি গঠন করে বাস করে। মৌমাছির বাসাকে বলা হয় মৌচাক। গাছের ডাল, ঘন ঝোপঝাড়, গাছের ফোকর, দালান বা ঘরের সুবিধাজনক স্থানে বাসা তৈরি করে এরা।
ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময় মৌমাছিরা তাদের পা এবং বুকের লোমের ফুলের অসংখ্য পরাগরেণু বয়ে বেড়ায়। এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়লে পরাগায়ণ ঘটে, যার ফলশ্রুতিতে উৎপন্ন হয় ফল। এভাবে মৌমাছিরা পরাগায়ণের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে ফল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ায়।