সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় ও প্রধান আকর্ষণীয় শহরে র নাম দুবাই। বিলাসবহুল জীবন-যাপন, চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোকরশ্মি, আকাশচুম্বি অট্রালিকা, হোটেল, কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জসহ নানা কারণে দুবাই পর্যটকদের জন্য পছন্দের শীর্ষে। পৃথিবীর মধ্যে বিখ্যাত টাওয়ারগুলো দুবাই শহরে অবস্থিত। শুধুমাত্র টাওয়ারই নয় রয়েছে আরও নানা নান্দনিক জায়গা। এর মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন দুবাই মল। শপিং প্রেমীদের জন্য এক স্বপ্নময় স্থান আরব আমিরাতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ খলিফার পাশে অবস্থিত দুবাই মল (The Dubai Mall)। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় আরব আমিরাত দুবাই মলে। প্রায় ১৩ মিলিয়ন বর্গ ফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত দুবাই মল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল। প্রায় ৫০ টি ফুটবলের মাঠের সমান জায়গা জুড়ে গড়ে উঠা এই মলে রয়েছে প্রায় ১,২০০ টি দোকান, এক্সক্লুসিভ ফ্যাশন হাউজ, ২০ টি বিলাসবহুল হোটেল, ২২ টি সিনেমা হল, বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং১২০টি রেস্টুরেন্ট।
দুবাই মল শুধু শপিং প্রেমিকদের জন্যই নয় বরং আরও বেশি নান্দনিক হয়েছে এর বৈশিষ্ট মন্ডিত বিভিন্ন বিষয়ের কারণে। এখানে রয়েছে বিশ্বখ্যাত দুবাই একুরিয়াম এবং পানির নিচের জলজ প্রাণীদের চিড়িয়াখানা। যার মধ্যে হাঙ্গরসহ রয়েছে প্রায় ৩০০ প্রজাতির নানা ধরনের জলজপ্রাণী। এছাড়া কেউ যদি চায় তাহলে পানির টাংকিতে ডুব দিয়ে টাইগার শার্ক দেখতে পারেন। তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনার সাহস থাকতে হবে। ২৭০ ডিগ্রি বিশিষ্ট একটি টানেল মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে ভ্রমণরত মানুষজনদের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলার জন্য। আর তাই দুবাই (Dubai) বেড়াতে আসলে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই দুবাই মল।
৪ নভেম্বর 200৮ উদ্বোধন করা দুবাই মলের মালিক ইমার প্রপার্টিজ। দুবাই মল উদ্বোধনের পরপরই মাত্র পাঁচ দিনে প্রায় ৬১ হাজার রেকর্ড সংখ্যক টিকেট বিক্রি করেছিল। সপ্তাহে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষ দুবাই মল ভ্রমণ করতে আসে। বিশ্বের নামিদামি নানা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে এই দুবাই মল। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বেশ অনেক দিন বন্ধ রয়েছিল। তবে পুনরায় এই হলটি চালু হয়েছে।
‘দুবাই মল’ এক কথায় অসাধারণ। চোখ ধাঁধানো সব দোকান এবং ভেতরের পরিবেশ। ঘুরতে ঘুরতে আপনি বার বার থমকে যাবেন কিছু না কিছু দেখেই। বিশ্বের সব নামি-দামি বড় ব্রেন্ডের দোকান পেয়ে যাবেন আপনি এখানে। দাম একটু বেশি হলেও চাইলে কিছু কিনে নিতেই পারেন।
বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাত ফ্লাইটে খুব সহজে দুবাই শহরে যেতে পারবেন। চট্টগ্রাম থেকে গেলে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। আর ঢাকা থেকে গেলে সময় লাগতে পারে প্রায় ৯ ঘন্টা। এতে করে আপনার খরচ পরবে প্রায় ৫৫ হাজার থেকে ৭০ হাজারের মতো। এছাড়াও বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে আপনি সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।