রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের জন্য একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। বিদেশিরা এসে নির্বাচন করে দিয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধান হবে না। বরং সমস্যা জিয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
তিনি বলেন, শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, সুষ্ঠু চিন্তারও ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য যে কোনো উপায়ে অবশ্যই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু চিন্তার ব্যবস্থাও করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে “বঙ্গীয় সাহিত্য সভা”র উদ্যোগে ’নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আলোচনায়’ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। । অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে আবুল কাসেম ফজলুল হক।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের জন্য একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেনি। এটা তাদের পারতে হবে। একই সঙ্গে পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে সরকারের প্রধান হওয়ার যে রেওয়াজ তার সমালোচনা করেন ফজলুল হক। যে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বিশ্বে গণতন্ত্র এল, আমাদের দেশে সে ব্যবস্থাই প্রতিষ্ঠিত হলো।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, শুধু নির্বাচন নয়, সংবিধানকে জনগণের পক্ষে তৈরি করার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে। এ কাজে লেখক-বুদ্ধিজীবী-শিল্পীদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন কবি চঞ্চল আশরাফ, কবি সাখাওয়াত টিপু, লেখক রাখাল রাহা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান , চিত্রশিল্পী এ এইচ চঞ্চল, হেলাল মহিউদ্দিন, গণ অধিকার পরিষদের আবু হানিফ, লেখক ও চিকিৎসক সায়ন্ত সাখাওয়াত, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, লেখক নুরুন্নবী শান্ত, লেখক বাকি বিল্লাহ, প্রকাশক সাঈদ বারী, প্রকাশক মাহবুব রাহমান, প্রকাশক এনায়েত রসুল, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ।