খালেদ মহিউদ্দিন টকশোতে বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে যে সব প্রশ্ন তুলেছেন সে সব বিষয় নিয়ে তার বোন আসমাউল হুসনা মনি সব খোলাসা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করলেই আর ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেই পারিবারিকভাবে সচ্ছল হওয়া যায় না/বিত্তবান কেউ ছাত্ররাজনীতি করবে না এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
ফেসবুকের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-“খালেদ মহিউদ্দিন সাহেব যেহেতু দ্বিতীয় দফা জানতে চেয়েছেন সেহেতু এতদিন চুপ থাকার পর আমার মনে হয়েছে তাকে জানিয়ে দেওয়াই উত্তম। প্রথমত তাকে জানাতে চাই সেই টকশোতে তিনি গাড়ির যে নম্বর এবং বর্ণনা দিয়েছেন তা সঠিক ছিল না। কালো রঙের টয়োটা স্কয়ার সাত সিটের গাড়িটির নম্বর ১০-১২৭২ যেটা কিনা ব্র্যাক ব্যাংক এবং আমার নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বর্তমানে গাড়িটির মালিকানা আমার। এই গাড়িটি মূলত আমার ছোট ভাই সাদ্দাম বর্তমানে ব্যবহার করছে। নিচে কার লোন নম্বর এবং বর্তমান স্থিতি সংযুক্ত করে দেওয়া হল।
এখন আসি খরচের হিসাবে। আমি এবং আমার স্বামী উভয়ই সরকারি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। আমার শ্বশুর সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি, বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমরা আমার শশুর শাশুড়ির সাথে ঢাকায় নিজ বাসায় বসবাস করি। এছাড়া পারিবারিক ভাবে (পূর্ব পুরুষদের এবং বাবা-মায়ের অর্জিত) আমাদের পঞ্চগড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পত্তি আছে যা থেকে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে রিটার্ন পেয়ে থাকি। এক কথায় বলতে পারেন সমাজের সচ্ছল শ্রেণির মধ্যেই আমাদের অবস্থান। সাদ্দাম প্রথম পর্যায়ে তার চিকিৎসা জন্য ঢাকা মেডিকেলকেই বেছে নিয়েছিল কিন্তু তার যে সমস্যা ছিল সেটার চিকিৎসা বাংলাদেশে ছিলনা বিধায় আমাদেরকে তাকে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়েছে এবং সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ এবং সার্বিক সহযোগিতায় হয়েছিল। আমরা পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সাদ্দাম ব্যতীত চারজনেই সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় আছি। সাদ্দামের তিন দুলাভাইয়ের প্রথমজন সরকারি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, দ্বিতীয়জন বিসিএস ক্যাডার, তৃতীয়জন (আমার স্বামী) সরকারি ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করলেই আর ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেই পারিবারিকভাবে সচ্ছল হওয়া যায় না/বিত্তবান কেউ ছাত্ররাজনীতি করবে না এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
ধন্যবাদ এবং সবাইকে ঈদ উল আযহা’র শুভেচ্ছা।”