বিট্রিশ গণমাধ্যম বিবিসি গত বুধবার জানিয়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নতুন একটি ফিচার এনেছে। যা নোটিফিকেশন পেয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী। ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে একটি ফিচার টার্ন অন বা চালু করতে হবে। তা না করলে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ফেসবুক প্রোটেক্ট কী এবং কীভাবে এটি কাজ করে
এব্যাপারে ফেসবুকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, বেশ কিছু অ্যাকাউন্টকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে তারা একটি নতুন ফিচার তৈরি করেছে। ওই ফিচারের নাম ফেসবুক প্রোটেক্ট।
ফেসবুকে নতুন এই ফিচারটি অ্যাড করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বার্তা দিচ্ছে যে, আপনার অ্যাকাউন্টটি অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যার জন্য আপনার শক্তিশালী নিরাপত্তা দরকার। আপনার অ্যাকাউন্টের মতো সব অ্যাকাউন্টের রক্ষায় এই নিরাপত্তা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে ফেসবুক। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এরই মধ্যে লগ ইনের ক্ষেত্রে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেছে।
পরবর্তীতে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর মাধ্যমে ফেসবুক প্রোটেক্ট পুরোপুরি চালু করা হবে। ফেসবুকের লার্ন মোর অপশনে গেলে সেখানে ফেসবুক প্রোটেক্ট কেন জরুরি সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
মূলত হ্যাকাররা সব সময় সেই অ্যাকাউন্টগুলোর প্রতিই আগ্রহী হয়, যেগুলোতে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পেইজ পরিচালনা করে কিংবা যার কমিউনিটি সিগনিফিক্যান্স বা গুরুত্ব রয়েছে। এ ধরণের টার্গেটেড অ্যাটাক বা উদ্দেশ্যপূর্ণ হামলা রোধ করতেই এই প্রোগ্রামটি চালু করার অনুরোধ করেছে ফেসবুক।
যারা এই ফিচারটি চালু করতে পারবেন তারা ফেসবুকের মাধ্যমেই তা জানতে পারবেন। যারা এর আওতায় পড়বেন তারা ফেসবুকের সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ-ইন অপশনে গেলে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে অপশন পাবেন। সেখান থেকে ফেসবুক প্রোটেক্ট অপশন অন করা যাবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির ফেসবুক প্রোটেক্টের ব্যাপারে বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফেসবুকের এই ফিচারটি অ্যাকাউন্টের মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো যেমন ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশনের পাশাপাশি আরো কিছু বাড়তি নিরাপত্তা দেবে।
তিনি আরও বলেন, এর পরবর্তীতে অ্যাকাউন্টধারীর পেইজে কোনো পোস্ট আসার আগে ফারদার (আরও) অথেনটিফিকেশন (যাচাই) হয়ে আসবে। যাতে ওই অ্যাকাউন্টটিকে আর কেউ অ্যাবিউজ করতে না পারে, থ্রেট (হুমকি) থেকে রক্ষা করতে এই উদ্যোগ।
তবে সবাইকে নয় বরং ফেসবুক যাদের মনে করছে যে, তারা কোনো ধরণের হুমকির মুখে পড়তে পারে তাদেরকেই এ ধরনের বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।