গতকাল বুধবার ( ২৭ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি আমানত শাহ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫নং ফেরি ঘাটে এসে যানবাহনসহ ডুবে যায়। সে সময় ফেরিটিতে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান এবং ১৬টি মোটরসাইকেল ছিল। ফেরিটিতে শতাধিক মানুষ ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায়েএখন পর্যন্ত তাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে উদ্ধারকাজের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে।
ফেরিটি ৪০ বছরের বেশি পুরোনো ছিল। এক বছর আগেই ফেরিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছিল। দেশে বড় ফেরি ডোবার ঘটনা এটিই প্রথম।
জানা গেছে, গতকাল সকাল নয়টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে যানবাহনবোঝাই আমানত শাহ ছেড়ে আসে। মাঝপথে আসার পরপরই ফেরির সামনের বাঁ দিক থেকে পানি উঠতে শুরু করে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুনে ভেড়া মাত্রই ফেরিতে থাকা পণ্যবাহী তিনটি ট্রাক দ্রুত নেমে গেলেও এ সময় আরেকটি ট্রাক নামতে গেলে ফেরিটি এক পাশে কাত হয়ে যায় এবং ট্রাকটিও নদীতে পড়ে যায়। এর পরপরই অন্যান্য যানবাহন নিয়ে পন্টুনের কাছে পদ্মায় ডুবে যায় ফেরিটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ছুটে আসে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌমন্ত্রী মো. শাজাহান খান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম প্রমুখ দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন । এর আগে থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, নৌ পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা সন্ধ্যা পর্যন্ত দুটি পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করে। ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারের সক্ষমতা বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। উদ্ধারকারী হামজা জাহাজটির সক্ষমতা হচ্ছে ৬০ টন। আর ডুবন্ত ফেরি আমানত শাহর ওজন প্রায় এক হাজার টন। এ কারণে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামের একটি শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজ পাটুরিয়ায় আসছে।