রবিবার (৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত, বিএনপির সদর উপজেলা শাখার সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে আজ যে অরাজক পরিবেশ বিরাজ করছে, তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ জানে না দেশের ভবিষ্যৎ কি, কি হতে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ।” তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাদের সে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬ টি হরতাল হয়েছিলো। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়। দেশটা অচল করে দিয়েছিলো তারা।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের নেত্রী তাদের সে দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো বলেই, তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো। অথচ পরবর্তীতে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে, নির্দলীয় সরকারের প্রথাটাই বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তাদের এত ভয়।”
সকল অন্যায় ও অবৈধ শক্তিকে পরাজিত করে, সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিময় ও সুন্দর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শপথ গ্রহণ করার জন্য, দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েই নতুন নির্বাচন করতে হবে।” তিনি বলেন, “আমরা ১০ ও ২৭ দফা দাবি দিয়েছি। সেই ২৭ দফার মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশের আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছি।”