দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি বাড়াতে ওমানের সঙ্গে দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদি ১০ বছরের নতুন চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। নতুন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) আগামী ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছর ওমান থেকে বছরে অতিরিক্ত ০.৫ থেকে ১.৫ মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে পারবে।
বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং ওমানের পক্ষে ওকিউটি’র নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার।বর্তমানে বিদ্যমান দুটি চুক্তির আওতায় বছরে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বছরে সহজেই ৬৫ লাখ টন এলএনজি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সে হিসেবে বছরে আরও ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করা যেতে পারে।
এর মধ্যে ২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি সরবরাহের মধ্য দিয়ে সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৭ সালে ওমান থেকে ১৬ কার্গো এলএনজি ও ২০২৮ সালে আসবে ১৬ কার্গো এলএনজি। এছাড়া ২০২৯ সাল থেকে ২৪টি কার্গো করে পরবর্তী বছরগুলোতে এলএনজি সরবরাহ করবে কম্পানিটি।এদিকে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে দামে চলছে অস্থিরতা সম্প্রতি ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন এলএনজি পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
ওমান থেকে বছরে ২৪ কার্গোর সমপরিমাণ পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করা হবে; আগামী ১০ বছরে আনা হবে মোট ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার এনাম) এলএনজি।এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করেছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য পিএসসিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি ওমানসহ সংশ্লিষ্টদের আগত পিএসসিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। তবে অতিরিক্ত এই এলএনজি আমদানি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে দেশের ক্রয় ক্ষমতার ওপর।