সাংবাদিকতা পেশায় নানান চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে নিজের সেরাটা কে কাজে লাগিয়ে তুলে ধরতে হয় বিভিন্ন মাত্রার কিছু বিষয়। ঠিক তেমনি এবারে নিজেদের সেরা তুলে ধরতে পেরেছে প্রিন্ট মিডিয়া,অনলাইন মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১৩ সংবাদকর্মী।
সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া প্রায়শ সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়ে শিশু মৃত্যুর হার বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হার পানিতে ডুবে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কিছু গণমাধ্যমে। কেন বা কি কারনে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু দিনদিন বাড়ছে সেই বিষয় বস্তু এবং সেসব সম্পর্কিত কারন নিয়ে করা হয় বিশেষ প্রতিবেদন”পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ’
রোববার (২৫জুন)রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি এ পুরস্কারের আয়োজন করে। আয়োজনে সেরা প্রতিবেদক পুরস্কার প্রদান করা হয় ১৩ জন প্রতিবেদককে। আয়োজনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুরস্কার প্রদান করেন ।এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং জাতীয় ও স্থানীয়র পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিশেষ তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন আফরিন আপ্পি (দ্য বিজনেস পোস্ট), জিনিয়া কবির সূচনা (চ্যানেল ২৪), পার্থ শঙ্কর সাহা (প্রথম আলো), মাসুদ রানা (জাগোনিউজ), সোহাগী আক্তার (সময় ট্রিবিউন), ঝর্ণা মনি (ভোরের কাগজ), কাউসার সোহেলী (মাছরাঙা টিভি), নীলিমা জাহান (ডেইলি স্টার), স্বপ্না চক্রবর্তী (জনকন্ঠ), জাহিদুর রহমান (সমকাল), সজীব আহমেদ (কালের কন্ঠ), আসিফ ইসলাম শাওন (দ্য বিজনেস পোস্ট) এবং আরেফীন তানজীব (চ্যানেল আই অনলাইন)।
এসময় প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর মতো ভয়াবহ সমস্যা স্থায়িত্বশীল সমাধানের লক্ষ্যে গণমাধ্যমসহ সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে সরকার আন্তরিক। সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের জনস্বার্থ সংশিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার প্রদান খুবই কার্যকর একটি উদ্যোগ। এতে গভীরতাধর্মী প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকরা আরো অনুপ্রাণিত হবেন এবং সরকারও কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারবে”।
অনুষ্ঠানে ঢাবি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “গণমাধ্যমগুলো তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারে। প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াগুলো পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক গভীরতাধর্মী সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে পারে। আবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলো এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি ও টিভিসি প্রচার করতে পারে। এতে একদিকে যেমন ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়বে, তেমনি সরকারের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারনী মহলের নজরে আসবে।আমরা সামনে দিনের এই সংক্রান্ত বিষয় গুলো নিয়ে গণমাধ্যম এবং সংস্থা একসাথে কাজ করলে কার্যকারী উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতন করা সহজে সম্ভব হবে।