দেশে রেকর্ড পরিমান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে। ১৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২১১ জন রোগী যেটি ২৪ ঘন্টার ভর্তির সংখ্যা, চলতি বছরে এটি একদিনের আক্রান্ত হওয়া সর্বোচ্চ রোগী।
রাজধানীর সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ৭০৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন । তাদের মধ্যে ঢাকাতে ভর্তি হয়েছেন ১৭৪ জন। একদিনের মৃত্যু ১ জন এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছে দুইহাজার ৮৭১ জন। এই অবস্থায় হাসপাতালে তুলনামূলক রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও ডেঙ্গু চিকিৎসায় সারা দেশের সকল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু এখন আর বর্ষা মৌসুমের আতঙ্ক নয়। ফলে এর ভয়াবহতা বাড়ছে। এটি মোকাবিলায় দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর তৎপরতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ব্যাপকভাবে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ জুন মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাস থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে হয়তো রক্ষা পাব, না হলে ডেঙ্গু এবার মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশোধিত গাইডলাইন প্রতিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক, ওষুধসহ সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক ভাবে সকল তথ্য জানানো হবে সবসময় যেনো সর্তক থাকে সবাই সেদিকে নজর রাখবে বলে জানিয়েছে।