সিডিউল থাকার পরও যারা শুক্র ও শনিবার ফিরতে পারেননি তাদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘবে শনিবার (০৬নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র পর্যটকদের বিনামূল্যে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে তাদের ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটন শহর কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সব পর্যটকরা বাস ধর্মঘটের কারণে নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারছেন না, তাদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহায়তায় নিজস্ব পরিবহনে কোন প্রকার ভাড়া ছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। আপনাদের পরিচিত যে সমস্ত পর্যটকগণ কক্সবাজারে আটকে পড়েছেন তাদেরকে পুলিশ লাইন্স, কক্সবাজারে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার, শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন অন্তত অর্ধলাখ পর্যটক। তাদের মধ্যে অর্ধেক চলে গেলেও ধর্মঘটে কক্সবাজার আটকেপড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক। পর্যটকদের অসুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে হোটেল মোটেলগুলোতে ২০ ভাগ ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে হঠাৎ গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় কক্সবাজার বেড়াতে এসে শুক্র ও শনিবার ফিরে যাওয়ার সিডিউল থাকা পর্যটকরা আটকা পড়েন। শনিবার (৬ নভেম্বর) অনেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় উড়োজাহাজে করে কক্সবাজার ত্যাগ করেন। অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া দুই-তিনগুণ হওয়ায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারেননি । শনিবার বিমানের টিকেটের মূল্যও অন্যদিনের চেয়ে বেশ চড়া ছিল। তবে, হোটেলে অবস্থান করা পর্যটকদের রুম ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দিচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে যে ছাড়ে রুমে উঠেছিল সেই ভাড়ার উপর ৩০-৪০ শতাংশ ছাড় দিয়ে দুর্ভোগে পড়া পর্যটকদের সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।