বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ত্রিশালে গতকাল ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছে কুয়াশা উৎসব। বাংলাদেশে ২য় বারের মত আয়োজিত হয়েছে ব্যতিক্রমী এই উৎসব। প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে, মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ প্রত্যশা করেন এক সময় এটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হবে। শীতের ঐতিহ্যেকে টিকিয়ে রাখাই হচ্ছে এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। কুয়াশা উৎসব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তৈরি একটি উৎসব।
’পৌষ মেলা বললেই, শান্তি নিকেতনের অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ে। আমরা বোধ করি এই কুয়াশা উৎসবকে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব হিসেবে জাতীয় ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো’, এই সূচনা বক্তব্য দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবী কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শৌমিত্র শেখর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশা উৎসব অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন ঘোষনা করেন। এর পরে উপাচার্য ফানুস উড়িয়ে এবং মশালের অগ্নি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্ভোদন করেন।
’প্রত্যাশার নব কহন কুয়াশার অবগাহন’- এই প্রতিপাদ্যকে সাথে নিয়ে ত্রিশাল অবস্থিত জাতিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুয়াশা উৎসব, এটি হচ্ছে শিক্ষার্থিদের প্রাণের উৎসব। এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর প্রথম কুয়াশা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রথম বারের সফলতার ধারাবাহিকতা অনুযায়ী টানা দ্বিতিয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুয়াশা এই কুয়াশা উৎসব।
এ উৎসবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের শিল্পকর্ম, চলচিত্র, দেশের গ্রামীণ ও উপজাতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। ৩০০ টাকায় ফরম পূরণ করে উৎসব বন্ধুরা। মূলত বিশ্ব বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকরা উৎসব বন্ধু। তবে যে কেউ এই উৎসবের সামিল হতে পারবেন ৫ ও ৬ দুদিন ব্যাপী এ উৎসবে।