প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চামড়া দাম নির্ধারণ করে থাকে সরকার। তাই গত বছরের চেয়ে এবছর ৩ টাকা বাড়িয়ে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। গরুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে বাড়লেও খাসির চামড়ার দাম বাড়েনি।এ বছর ঢাকায় কোরবানির পশুর লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা গত বছর ছিলো ৪৭ থেকে ৫২ টাকায়। আর ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। গত বছর এ দাম ছিলো ৪০ থেকে ৪৪ টাকা।খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে গরুর চামড়ার দাম এ বছর ৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এ দরেই গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কিনতে হবে। রোববার (২৫ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।চামড়ার দাম মনিটরিং প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, ‘দামটা আসলেই মনিটরিং করা দরকার। একটা মনিটরিং কমিটি আছে। জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এ কমিটি। সেই মনিটরিং টিম এটি দেখভাল করবে, যাতে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চামড়া নিয়ে রাখলে ১০ শতাংশ চামড়াও রক্ষা করা যাবে না। কারণ আমাদের তেমন কোনো সিস্টেম ডেভলপ করেনি।’ লবণের দাম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লবণের দামটা যেভাবে বাড়ানো হয়েছে, তা যৌক্তিক নয়। শিল্প মন্ত্রণালয় যেহেতু এটি নিয়ন্ত্রণ করে উৎপাদন কতটুকু এবং দাম কত হওয়া উচিত, সেগুলো তারা ভালো বলতে পারবেন। সঠিক দামটা আজ বা কালকের মধ্যে জানতে পারলে আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা করতাম সেই দামের মধ্যে রাখার। আমরা চেষ্টা করবো দাম যা আছে, কোরবানির সময় যেন তার চেয়ে বৃদ্ধি না করা হয়।’