কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ৬৯তম জন্মদিন আজ। এর মধ্যে ৫৭ বছরই তিনি গান করছেন! শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। যার কণ্ঠে আশ্রয় নিয়েছে ১৮ টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান । বরেণ্য এই কণ্ঠশিল্পী সংগীত জীবনের শুরু করেছিলেন মাত্র ১২ বছর বয়সে। ১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্থানের ‘জুগনু’ সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। ‘মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। রুনা লায়লার সংগীতশিল্পী নয় বরং হওয়ার কথা ছিল নৃত্যশিল্পী। টানা ৪ বছর করাচির বুলবুল ললিতকলা একাডেমির করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শেখেছিলেন তিনি।
১৭ নভেম্বর ১৯৫২ রুনা লায়লা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীত শিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে,তার বাবার বাড়ী রাজশাহীতে।
রুনা লায়লা চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী নামক চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক আলমগীরের বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পী চলচ্চিত্রটি ইংরেজি চলচ্চিত্র দ্য বডিগার্ড-এর ছায়া অবলম্বনে চিত্রিত হয়েছে।
সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য রুনা লায়লা পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এসবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে ছয় বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক।
রুনা লায়লা তিনবার বিয়ে করেন। প্রথমবার তিনি খাজা জাভেদ কায়সারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয়বার তিনি সুইস নাগরিক রন ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলাদেশি অভিনেতা আলমগীরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর এক কন্যা – তানি লায়লা এবং দুই নাতি জাইন এবং অ্যারন।