জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সা.) উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি আগামী ১৯ অক্টোবর, ২০২১ মঙ্গলবার এর পরিবর্তে ২০ অক্টোবর, ২০২১ তারিখ বুধবার পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
১২ রবিউল আউয়াল শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী। মুসলিমদের মাঝে এ দিনটি বেশ উৎসবের সাথে পালন হতে দেখা যায়। তবে উৎসব নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মাঝে অনেক বিতর্ক রয়েছে। হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর বারো তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশি মুসলমানরা এই দিনকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এই দিন নবী দিবস নামে পরিচিত। অন্য নাম মাওলিদ আন-নাবী (المولد النبوي), মাওয়ালিদ, হ্যাভলিয়ে, দনবা, গনি।
মূলধারার সুন্নি ইসলাম, শিয়া ইসলাম এবং ইসলামের অন্যান্য শাখার অনুসারীগণ উৎসব পালন করে থাকেন। হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে মিলাদুন্নবীর প্রচলন শুরু হয়। রাসূল, আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন এর জন্মদিন, এসবের মূল প্রর্বতক ছিল খলীফা আল মুয়িজ্জু লি-দীনিল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, মিশরের এইসব অনুষ্ঠানাদি তখনো মুসলিম বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি। পরবর্তীতে যিনি ঈদে মিলাদুন্নবীকে মুসলিমবিশ্বের অন্যতম উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি হলেন, ইরাক অঞ্চলের ইরবিল প্রদেশের আবু সাঈদ কুকবুরী । সে হিসেবে জানা যায়, ৭ম হিজরী থেকে আনুষ্ঠানিক মিলাদ উদ্যাপন শুরু হয়। মিলাদের উপর সর্বপ্রথম গ্রন্থ রচনা করে আবুল খাত্তাব ওমর ইবনে হাসান ইবনে দেহিয়া আল কালবী ।