আজ ই-ক্যাবের ৭ বছর। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সংক্ষেপে ই-ক্যাব) বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সমস্যা নিরসন করার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা। বাংলাদেশ ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, সমস্যা নিরসন ও এখাতের উদ্যোক্তাদের একত্র করণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর রাজিব আহমেদ মাত্র ১০০ জন তরুণকে নিয়ে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামে ফেসবুক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রুপে ই-কমার্স খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও স্কাইপে অনলাইন আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের প্রচারণা ও এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অধীনে রেজিস্ট্রেশন পায় সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হয় রাজিব আহমেদ। বর্তমান সভাপতি শমী কায়সার।
এমএলএম, রিক্রুটিং এজেন্সি বাদে সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়ীরা ই-ক্যাবের সদস্য হতে পারে। প্রতি অর্থবছরে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে মেম্বারশিপ সচল রাখতে হয়। বর্তমানে সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা ১ হাজার তিন’শ এবং বর্তমানে ফেসবুক গ্রুপ-এ সদস্য সংখা ৩.৩৩৭ লক্ষ। রাজিব আহমেদ এর প্রতিষ্ঠিত ই-ক্যাব হাটি হাটি পা পা করে আজ বিশাল জায়গা করে নিয়েছে ই-কমার্স শিল্পে। করোনাকালীন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গ্রাহক ও উদ্যোক্তাদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে সংস্থাটি। সম্প্রতি এ খাতের নানা সমস্যা সমাধানে ই-ক্যাব সরকারের সঙ্গে মিলে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর জন্মলাভ করে ১৪ই নভেম্বর ইক্যাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলে সেই মানুষটার সাথেই করা হয় গুটিবাজি, ই-কমার্সে তার অবদান অস্বীকার করতে যা যা করতে হয় তাই করা হয়েছে। টানা ২ বছর ফেসবুকে ট্রল করা হয়েছে, বডি শেমিং সহ সকলভাবে হেনস্তার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আজও দেশের মন্ত্রণালয়গুলোতে সে আলাদা সম্মান পায়, এখনো দেশের হাজার হাজার মানুষ তাঁর কাজের জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার দেখা স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে, দেশীয় ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এখন বিলিয়ন ডলারের সম্পদে পরিণত হয়েছে, দিনকে দিন যুক্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এর সবচেয়ে বড় অবদান নিসন্দেহে রাজিব আহমেদের। তিনি সব সময় চান ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি আরো বড় হোক, আরো সমৃদ্ধি লাভ করুক।
২০১৪ সালের মিট দ্য প্রেসে ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেছিলেন, ‘পাঁচ বছরের মধ্যে ই-কমার্স সেক্টর দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরে পরিণত হবে।’ ই-কমার্স এখন বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে৷