ইলেকট্রনিকস কমার্স এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ই-কমার্স।
ই-কমার্স ব্যবস্যায় এক যুগান্তকারী বা আধুনিক পদ্ধতি। সাধারণত মোবাইল, ল্যাপটপে ডাটা ব্যবহার করে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ক্রেতা বিক্রেতা ব্যবসায়িক কাজে আদান প্রদান বা সুবিধা ভোগ করাই ই কমার্স।
বাংলাদেশে ই-কমার্স এর প্রাথমিক পর্যায়ে যাত্রা শুরু করে ২০০৮ সালে এবং তবে এর ভিতটা প্রতিষ্টিত হয় ২০১২ সাল থেকে।
ই-কমার্স ৪ প্রকার
১। বি টু বি (ব্যবসায়িক থেকে ব্যবসায়িক)
একজন ব্যবসায়ি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যদি আরেক জন ব্যবসায়ির সাথে আদান প্রদান করে তবে তাকে বি টু বি বলে।এটা বেশ জনপ্রিয় তবে কম লাভ জনক।
আরণ্যক পেজ যদি ইউনিক কোনো শাড়ি মার্কেটে ছাড়তে চায়। তবে তাকে পাইকারি ভাবে একজন ব্যাবসায়ির কাছে এককালারের শাড়ি কিনতে হবে অথবা কোন মিল ব্যাবসায়ির কাছে ডিল করতে হবে। তারপর ডিজাইন করে আবার সেই শাড়ি যদি পাইকারি দরে বিক্রি করে তবে সেটা বি টু বি।
২। বি টু সি ( ব্যবসায়িক থেকে ভোক্তা)
একজন ব্যবসায়ি যদি সরাসরি ভোক্তার সাথে আদান প্রদান করেন তবে তাকে বি টু সি বলে। একজন ব্যবসায়ি যদি নিজেই ইউনিক কিছু করেন তবে এই প্রসেসটা বেশি লাভজনক।
যেমন কোন উদ্যেক্তা তার পেজের জন্য Triangle IT solution পেজ অথবা ওয়েবসাইট থেকে যদি লোগো অর্ডার করে তবে এটা বি টু সি।
৩। সি টু সি (ভোক্তা থেকে ভোক্তা)
একজন ব্যবসায়ি এবং ক্রেতার মধ্যে যখন একজন মিডেলম্যান থাকে তখন ব্যবসায়ি এক জন ক্রেতার ভূমিকা পালন করে। তখন যে আদান প্রদান হয় তাকে সি টু সি বলে।
ধরি, আমিনা শায়লা আপু তার পণ্যটি বিক্রির জন্য রকমারিতে এড দিলেন।এড দেবার জন্য আপু নিজেও ঐ সাইটের ক্রেতা হয়ে যাবেন। আবার আমি যখন আপুর পণ্যটি কিনবো আমি কিন্তু সরাসরি আমিনা আপুর সাথে যোগাযোগ করবো। এক্ষেএে রকমারি কোন দায়ভার বহন করবে না। যা হবে আপু আর আামার মধ্যে।এটাই সি টু সি।
অথবা একজন ক্রেতা যখন পণ্যর ভ্যালু ক্রিয়েট করেন এবং ই পণ্যটির সেল বেড়ে যায় তাকে ও সি টু সি বলে।এ ক্ষেত্রে রিভিউ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
৪।সি টু বি( ভোক্তা থেকে ব্যবসায়িক)
একজন ভেক্তা এবং ব্যবসায়িকের মধ্যে আদান প্রদান হয় সাথে মিডেলম্যান থাকে তাকে সি টু বি বলে।
যখন কোন কিছু নিলামে উঠানো হয় তখন সি টু বি প্রসেসে হয়।
ই-কমার্স সাধারণ নিম্নোক্ত ভাবে করা যায়।
১। এম কমার্স বা মোবাইল কমার্স
মোবাইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান বা লেন দেন করে যে ব্যবসা করা হয় তাকে এম কমার্স বলে।বর্তমানে এটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
২। এফ কমার্স বা ফেসবুক কমার্স
কয়েক বছর থেকে এফ কমার্সে মানুষ ঝুকছে। বিশেষ করে পেন্ডমিক সিচুয়েশনে অনেক মানুষ এফ কমার্স শুরু করেছে। ফেসবুকে পোডাক্ট ইমেজ আকারে দিয়ে মানুষকে আকর্ষণ করা হয়।অপর দিকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং ব্যস্থতার জন্য মানুষ ফেসবুক থেকেই কেনা কাটা করে।
৩।ওয়েবসাইট ভিত্তিক কমার্স
অনলাইনে মানুষ ওয়েবসাইটে গিয়েও কেনাকাটা করে। আর ট্রানজেকশন ও বিভিন্ন ওয়েব সাইটে করা সহজ এবং সময়ও কম লাগে। উদাহরণঃঅ্যামাজন.কম