আজ বৃহস্পতিবার,৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত শিশু অধিকার সপ্তাহের মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালনে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।
এ বছর জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে— ‘আমরা কন্যাশিশু-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’। দিবসের সরকারি সূচি হিসেবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাহিকতায় আজ সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত হয়।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কন্যাশিশুর জন্ম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশেষ করে গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থায় কন্যাশিশুর জন্মকে বাড়তি বোঝা হিসেবে মনে করা হয়। তাই শিক্ষিত, সচেতন, কর্মদক্ষ একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে তারা অনেকাংশেই বঞ্চিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। ২০১২ সালে জাতিসংঘের রেজুলেশনের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ গার্ল চাইল্ড ঘোষণা করা হয়। আর্ন্তজাতিকভাবে শিশু অধিকার সপ্তাহ শুরু হয় ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস , জাতীয় কন্যা শিশু দিবস নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়েন।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করে থাকে। এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। তবে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর।