Wednesday, September 18, 2024
No menu items!
আন্তর্জাতিকআজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস

আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস

আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। সারা বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে।

পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে।

২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য:

  • পুরুষ ও বালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি;
  • নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা;
  • নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সাম্যতার প্রচার;
  • পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা;
  • পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী;
  • পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদ্‌যাপন;
  • সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও বালকদের অবদানকে তুলে ধরা।

পুরুষ দিবস ঘটা করে পালন করা হয় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, হাইতি, জ্যামাইকা, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও ঘানা। প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’। ২০২১ সালের পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘নারী-পুরুষের লিঙ্গ সম্পর্ক উন্নয়ন’।

১৯ নভেম্বরের কর্মসূচি:

  • সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে জড়ো হয়ে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন।
  • সকাল সাড়ে ১০ টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যা লি।
  • সকাল সাড়ে ১১ টায় র্যা লি পরবর্তী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত থাকবেন সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
  • দুপুর ১ টায় সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য