Monday, October 14, 2024
No menu items!
প্রথম পাতাঅর্থ পাচার মামলায় জি কে শামীমসহ ৮ জনের রায় ২৫ জুন

অর্থ পাচার মামলায় জি কে শামীমসহ ৮ জনের রায় ২৫ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত ঠিকাদার ও কথিত যুবলীগ নেতা এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফ জি কে শামীম মানি লন্ডারিং আইনের মামলার রায় ২৫ জুন ধার্য করেছে আদালত। বিচারপতি নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৫জুন) ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আগামী ২৫ জুন রায় নির্ধারণ দিন ধার্য করেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের কৌঁসুলি আজাদ রহমান। এই মামলায় রাজধানীর গুলশান থানার এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বাকি সাত আসামি হলেন— শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। সব আসামি কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্রের তথ্যানুযায়ী, দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে শামীমের। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমির মালিক তিনি। এসবের দাম ৪১ কোটি টাকা। শামীম তার অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন।২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‍্যাব। সেখান থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, নয় হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে র‌্যাব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সবশেষে এর আগে জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য